আমি ভ্রমর হয়ে উড়ি
তোমার নয়ন-জোড়া দেখে আমি,
পুষ্প ক্রোর ছুই.
ভাবি আমি বসে বসে -
সবুজ ধানের খেতের ধারে
এ হেন অপ্সরা তুমি,
কেমন তরে দিবে মোরে,
তোমার ওই হৃদয়ের মাঝে
এক টুকরো ভালবাসার ছওয়া.
এক বর্ষা রাতে, মহাপ্রলয়ের মাঝে
শুনি এক আর্তনাদ
খুঁজি আমি এপাশ ওপাশ
দেখি না আমি কাউকে -
আবার শুনি সেই ভয়াবহ আর্তনাদ
ভেসে আসে যেন
তোমারি দ্বার থেকে
ছুটে যাই আমি - সন্ধানে.
উপড়ে গেছে সেই পুরাতন বট-বৃক্ষ
ধ্বসে গেছে কুটিরের ছাদ
রুদ্ধ-শ্বাস বেগে ধেয়ে যাই আমি
জীর্ণ সেই আঙ্গিনা পেড়িয়ে
এক কোনে শায়িত দেখি
সেই দৈবিক সৌন্দর্য
কিন্ত এ কি? এত রক্ত কেন?
থরথর বক্ষে, আমি তুলে নি তোমারে
হদিস হারিয়ে ছুটে যাই বাইরে
আরো প্রলয়, আরো আর্তনাদ চারি-পাশে.
এক পাশে, একটু পরিষ্কার জায়গা দেখি
হালকা হাতে তোমায় মেলে ধরি
পাই না কোনো প্রাণের শ্বাস
ওগো, একবার চেয়ে দেখো-
আমি তোমারি সেই ভ্রমর
তোমারি প্রেমে আমি করেছি
কতই না তপাশ্বা... কেন এখন মেলে ধর না
তোমার ওই নয়ন দুটি?
হে ঈশ্বর, আমার এই প্রাণখানি
নয় কোনো অমূল্য রত্ন
যারে আমি দিতে পারি না বলিদান
এ হেন দৈবিক অপ্সরার নেয় -
তুমি লও মোরে, ফিরিয়া দাও তারে.
হঠাত এক নিস্তব্দতা চারি পাশে
তবে কি আমার প্রার্থনা শুনিয়াছে সে?
বৃষ্টি থেমেছে, বাদল সরেছে
ভানুর রশ্মি ছেয়েছে চারি পাশে -
কিন্ত আমার কোলে এখনো
নিস্তব্ধ, নিস্তেজ সেই দেহখানি
নিস্তব্ধ, নিস্তেজ সেই দেহখানি
এই ভ্রমরও গেছে হেরে.
এই সত্য, এই প্রকৃত
অপেক্ষায় থাকিব আমি,
আবার কোনো এক কালে
মিলিব তোমারি সাথে
হয়ে ভ্রমর তোমার পদ্ম বক্ষে
ভাসিব এক নতুন মধুর রসে...
No comments:
Post a Comment